9. পানি প্রার্থনার সলাত

【1】

পানি প্রার্থনার সলাত

‘আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু যায়িদ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টির জন্য দু‘আ করেন এবং নিজের চাদর উল্টিয়ে দেন। (বুখারী পর্ব ১৫ : /৪ হাঃ ১০১১, মুসলিম পর্ব ৯ হাঃ ৪৯৮)

【2】

ইসতিস্কা সলাতে দু‘আর সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন।

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসতিস্কা ব্যতীত অন্য কোথাও দু‘আর মধ্যে হাত উঠাতেন না। তিনি হাত এতটুকু উপরে উঠাতেন যে, তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেত। (বুখারী পর্ব ১৫ : /২২ হাঃ ১০৩১, মুসলিম ৯/১, হাঃ ৮৯৫)

【3】

ইসতিস্কার সলাতে দু‘আ।

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময় কোন এক জুমু‘আহ’র দিন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্‌বা দিচ্ছিলেন। তখন এক বেদুইন উঠে দাঁড়াল এবং আরয করল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! (বৃষ্টির অভাবে) সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরিবার পরিজনও অনাহারে রয়েছে। তাই আপনি আল্লাহ্‌র নিকট আমাদের জন্য দু‘আ করুন। তিনি দু’ হাত তুললেন। সে সময় আমরা আকাশে এক খণ্ড মেঘও দেখিনি। যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ (করে বলছি)! (দু‘আ শেষে) তিনি দু’ হাত (এখনও) নামান নি, এমন সময় পাহাড়ের ন্যায় মেঘের বিরাট বিরাট খণ্ড উঠে আসল। অতঃপর তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করেন নাই, এমন সময় দেখতে পেলাম তাঁর (পবিত্র) দাড়ির উপর ফোটা ফোটা বৃষ্টি পড়ছে। সে দিন আমাদের এখানে বৃষ্টি হল। এর পরে ক্রমাগত দু’দিন এবং পরবর্তী জুমু‘আহ পর্যন্ত প্রত্যেক দিন। (পরবর্তী জুমু‘আহ’র দিন) সে বেদুইন অথবা অন্য কেউ উঠে দাঁড়াল এবং আরয করল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! (বৃষ্টির কারণে) এখন আমাদের বাড়ি ঘর ধ্বসে পড়ছে, সম্পদ ডুবে যাচ্ছে। তাই আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ্‌র নিকট দু‘আ করুন। তখন তিনি দু’ হাত তুললেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ্ আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বৃষ্টি দাও), আমাদের উপর নয়। (দু‘আর সময়) তিনি মেঘের এক একটি খন্ডের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন, আর সেখানকার মেঘ কেটে যাচ্ছিল। এর ফলে চতুর্দিকে মেঘ পরিবেষ্টিত অবস্থায় ঢালের ন্যায় মাদীনার আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে গেল এবং কানাত উপত্যকায় পানি একমাস ধরে প্রবাহিত হতে লাগল, তখন (মদীনার) চতুষ্পার্শ্বের যে কোন অঞ্চল হতে যে কেউ এসেছে, সে এ প্রবলভাবে বৃষ্টির কথা আলোচনা করেছে। (বুখারী পর্ব ১১ : /৩৫ হাঃ ৯৩৩, মুসলিম ৯/২, হাঃ ৮৯৭)

【4】

ঝড়ো হাওয়া ও মেঘ দেখে আল্লাহ তা‘আলার আশ্রয় প্রার্থনা করা ও বৃষ্টি দেখে আনন্দিত হওয়া।

‘আয়িশাহ (রাঃ) তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আকাশে মেঘ দেখতেন, তখন একবার সামনে আগাতেন, আবার পেছনে সরে যেতেন। আবার কখনও ঘরে প্রবেশ করতেন, আবার বেরিয়ে যেতেন আর তাঁর মুখমণ্ডল মলিন হয়ে যেত। পরে যখন আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করত তখন তাঁর এ অবস্থা দূর হত। ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর কারণ জানতে চাইলে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি জানি না, এ মেঘ এমন মেঘও হতে পারে যা দেখে ‘আদ জাতি বলেছিলঃ অতঃপর যখন তারা তাদের উপত্যকার দিকে উক্ত মেঘমালাকে এগোতে দেখল। (আল আহকাফ (৪৬): ২৪) (বুখারী পর্ব ৫৯ : /৫ হাঃ ৩২০৬, মুসলিম ৯/৩ হাঃ ৮৯৯)

【5】

পূর্ব পশ্চিমের বায়ু প্রসঙ্গে।

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে পূবালী হাওয়া দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। আর ‘আদজাতিকে পশ্চিমা বায়ু দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। (বুখারী পর্ব ১৫ : /২৬ হাঃ ১০৩৫, মুসলিম ৯/৪, হাঃ ৯০০)