38. আচার-ব্যবহার

【1】

আবুল ক্বাসেম নামে কুনিয়াত বা উপনাম রাখা মাকরূহ এবং মুস্তাহাব নামসমূহের বর্ণনা।

আনাস (রাঃ) তিনি বলেন, এক সাহাবী বাক্বী’ নামক স্থানে আবূল ক্বাসিম বলে (কাউকে) ডাক দিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকালেন। তিনি বললেন, আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করিনি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ কিন্তু আমার কুনিয়াতে বা ডাকনামে কারো কুনিয়াত রেখ না। (বুখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ৪৯ হাদীস নং ২১২১; মুসলিম ৩৮/১ ২১৩১) জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ আল-আনসারী (রাঃ তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এক জনের পুত্র জন্মে। সে তার নাম রাখল কাসিম। তখন আনসারগণ বললেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনীয়াত ব্যবহার করতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না। সে ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার একটি পুত্র জন্মেছে। আমি তার নাম রেখেছি কাসিম। তখন আনসারগণ বললেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনীয়াত ব্যবহার করতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘আনসারগণ ঠিকই করেছে। তোমরা আমার নামে নাম রাখ, কিন্তু কুনীয়াতের মত কুনীয়াত ব্যবহার করো না। কেননা, আমি তো কাসিম (বণ্টনকারী)।’ (বুখারী পর্ব ৫৭ অধ্যায় ৭ হাদীস নং ৩১১৫; মুসলিম ৩৮/১ হাঃ ২১৩৩) জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, আমাদের একজনের একটি ছেলে জন্ম নিল। সে তার নাম রাখলো ‘ক্বাসিম’। আমরা বললামঃ আমরা তোমাকে আবুল ক্বাসিম ডাকবো না আর সে সম্মানো দিব না। তিনি এ কথা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানালে তিনি বললেনঃ তোমার ছেলের নাম রাখ ‘আবদুর রহমান’ (বুখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১০৫ হাদীস নং ৬১৮৬; মুসলিম ৩৮/১, হাঃ ২১৩৩) আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আবুল কাসিম তথা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আমার আসল নামে নাম রাখতে পার, কিন্তু আমার উপনাম কারো জন্য রেখ না। (বুখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ২০ হাদীস নং ৩৫৩৭; মুসলিম ৩৮/১ হাঃ ২১৩১)

【2】

খারাপ নাম পরিবর্তন করে ভাল নাম রাখা এবং বাররাহ নাম পরিবর্তন করে যায়নাব জুয়াইরিয়াহ বা এ জাতীয় নাম রাখা।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) যাইনাব (রাঃ)-এর নাম ছিল ‘বাররাহ’ (নেককার)। তখন কেউ বললেনঃ এতে তিনি নিজের পবিত্রতা প্রকাশ করছেন। তখন রাসূলুল্লাহ তাঁর নাম রাখলেনঃ ‘যাইনাব’। (বুখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১০৭ হাদীস নং ৬১৯২; মুসলিম ৩৮/৩, হাঃ ২১৪১)

【3】

“রাজাধিরাজ” নাম রাখা হারাম।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) তিনি রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট নামধারী অথবা বলেছেন, সব নামের মধ্যে ঘৃণিত নাম হলো সে ব্যক্তি, যে ‘রাজাধিরাজ’ নাম ধারণ করেছে। (বুখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১১৪ হাদীস নং ৬২০৫; মুসলিম ৩৮/৪, হাঃ ২১৪৩)

【4】

কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করার সময় তাহনিক করা (কিছু চিবিয়ে মুখে দেয়া) এবং তাহনিক করার জন্য ভাল লোকের নিকট নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিন নাম রাখা জায়িয এবং ‘আবদুল্লাহ, ইবরাহীম ও সমস্ত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)গণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব।

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, আবূ ত্বলহার এক ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ল। আবূ ত্বলহা বাইরে গেলেন, তখন ছেলেটি মারা গেল। আবূ ত্বলহা (রাঃ) ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ ছেলেটি কী করছে? উম্মু সুলাইম বললেনঃ সে আগের চেয়ে শান্ত। তারপর তাঁকে রাতের খাবার দিলেন। তিনি আহার করলেন। তারপর উম্মু সুলাইমের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করলেন। যৌন সঙ্গম ক্রিয়া শেষে উম্মু সুলাইম বললেনঃ ছেলেটিকে দাফন করে আস। সকাল হলে আবু ত্বলহা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাঁকে এ ঘটনা বললেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ গত রাতে তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছ? তিনি বললেনঃ হাঁ! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি বরকত দান কর। কিছুদিন পর উম্মু সুলাইম একটি সন্তান প্রসব করল (রাবী বলেনঃ ) আবূ ত্বলহা (রাঃ) আমাকে বললেন, তাকে তুমি দেখাশোনা কর যতক্ষণ না আমি তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে যাই। তারপর তিনি তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে গেলেন। উম্মু সুলাইম সঙ্গে কিছু খেজুর দিয়ে দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে (কোলে) নিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তার সঙ্গে কিছু আছে কি? তাঁরা বললেনঃ হাঁ, আছে। তিনি তা নিয়ে চর্বন করলেন এবং তারপর মুখ থেকে বের করে বাচ্চাটির মুখে দিলেন। তিনি এর দ্বারাই তার তাহনীক করলেন এবং তার নাম রাখলেন ‘আবদুল্লাহ’। (বুখারী পর্ব ৭১ অধ্যায় ১ হাদীস নং ৫৪৭০; মুসলিম ৩৮/৫, হাঃ ২১৪৪) আবূ মূসা (রাঃ) তিনি বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলে আমি তাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বারকাতের দু‘আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবূ মূসার বড় সন্তান। (বুখারী পর্ব ৭১ অধ্যায় ১ হাদীস নং ৫৪৬৭; মুসলিম ৩৮/৪ হাঃ ২১৪৫) আসমা (রাঃ) তখন আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু যুবায়ের তার গর্ভে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এমন সময় হিজরত করি যখন আমি আসন্ন প্রসবা। আমি মাদীনায় এসে কুবাতে অবতরণ করি। এ কুবাতেই আমি পুত্র সন্তানটি প্রসব করি। এরপর আমি তাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাঁর কোলে দিলাম। তিনি একটি খেজুর আনালেন এবং তা চিবিয়ে তার মুখে দিলেন। কাজেই সর্বপ্রথম যে বস্তুটি আবদুল্লাহর পেটে গেল তা হল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর থুথু। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামান্য চিবানো খেজুর নবজাতকের মুখের ভিতরের তালুর অংশে লাগিয়ে দিলেন। এরপর তার জন্য দু’আ করলেন এবং বরকত চাইলেন। তিনি হলেন প্রথম নবজাতক সন্তান যিনি হিজরাতের পর মুসলিম পরিবারে জন্মলাভ করেন। (বুখারী পর্ব ৬৩ অধ্যায় ৪৫ হাদীস নং ৩৯০৯; মুসলিম ৩৮/৪ হাঃ ২১৪৬) সাহ্‌ল বিন সা’দ (রাঃ) যখন মুনযির ইবনু আবূ উসায়দ জন্মগ্রহণ করলেন, তখন তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে নিয়ে আসা হলো। তিনি তাকে নিজের উরুর উপর রাখলেন। আবূ উসায়দ পাশেই বসা ছিলেন। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সামনেই কোন জরুরী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ইত্যবসরে আবূ উসায়দ (রাঃ) কারো দ্বারা তাঁর উরু থেকে তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করে জিজ্ঞেস করলেনঃ শিশুটি কোথায়? আবূ উসায়দ বললঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি তাকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তার নাম কী? তিনি বললেনঃ অমুক। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বরং তার নাম ‘মুন্‌যির’। সে দিন থেকে তার নাম রাখলেন ‘মুন্‌যির’। (বুখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১০৮ হাদীস নং ৬১৯১; মুসলিম ৩৮/৫, হাঃ ২১৪৯) আনাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবার চেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার একজন ভাই ছিল; তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! তোমার নুগায়র কি করছে? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো। আর প্রায়ই যখন সলাতের সময় হতো, আর তিনি আমাদের ঘরে থাকতেন, তখন তাঁর নীচে যে বিছানা থাকতো, সামান্য পানি ছিটিয়ে ঝেড়ে দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিতেন। তারপর তিনি সলাতের জন্য দাঁড়াতেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে দাঁড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করতেন। (বুখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১১২ হাদীস নং ৬২০৩; মুসলিম ৩৮/৫, হাঃ ২১৫০)

【5】

(ঘরে ইত্যাদিতে প্রবেশের জন্য) অনুমতি চাওয়া

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) তিনি বলেন, একবার আমি আনসারদের এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ আবূ মূসা (রাঃ) ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এসে বললেনঃ আমি তিনবার ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট অনুমতি চাইলাম, কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হলো না। তাই আমি ফিরে এলাম। ‘উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে কিসে বাধা দিল? আমি বললামঃ আমি প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চাইলাম, কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হলো না। তাই আমি ফিরে এলাম। (কারণ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি তোমাদের কেউ তিনবার প্রবেশের অনুমতি চায় কিন্তু তাতে অনুমতি দেয়া না হয় তবে সে যেন ফিরে যায়। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! তোমাকে এ কথার উপর অবশ্যই প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি সবাইকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ আছে কি যিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ হাদীস শুনেছেন? তখন উবাই ইবনু কা‘ব বললেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! আপনার কাছে প্রমাণ দিতে দলের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তিই উঠে দাঁড়াবে। আর আমি দলের সর্বকনিষ্ঠ ছিলাম। সুতরাং আমি তাঁর সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে বললামঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবশ্যই এ কথা বলেছেন। (বুখারী পর্ব ৭৯ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ৬২৪৫; মুসলিম ৩৮/৭, হাঃ ২১৫৩)

【6】

অনুমতি প্রার্থীকে যখন বলা হবে আপনি কে তখন ‘আমি’ বলা মাকরুহ।

জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমার পিতার কিছু ঋণ ছিল। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলাম এবং দরজায় করাঘাত করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কে? আমি বললামঃ আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি আমি, যেন তিনি তা অপছন্দ করলেন। (বুখারী পর্ব ৭৯ অধ্যায় ১৭ হাদীস নং ৬২৫০; মুসলিম ৩৮/৮, হাঃ ২১৫৫)

【7】

অন্যের বাড়িতে উঁকি মারা হারাম।

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন গৃহের দরজার এক ছিদ্র দিয়ে উঁকি মারল। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট চিরুনি সদৃশ একখণ্ড লোহা ছিল। এ দ্বারা তিনি স্বীয়মাথা চুল্কাচ্ছিলেন। যখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখলেন তখন বললেনঃ যদি আমি নিশ্চিত হতাম যে, তুমি আমার দিকে তাকাচ্ছ তাহলে এ দ্বারা আমি তোমার চোখে আঘাত করতাম। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ চোখের দরুন-ই অনুমতির বিধান রাখা হয়েছে। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ২৩ হাদীস নং ৬৯০১; মুসলিম ৩৮/৯, হাঃ ২১৫৬) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) একবার এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক কামরায় উঁকি দিল। তখন তিনি একটা তীর ফলক কিংবা তীর ফলকসমূহ নিয়ে তার দিকে দৌড়ালেন। আনাস (রাঃ) বলেনঃ তা যেন এখনও আমি প্রত্যক্ষ করছি। তিনি ঐ লোকটির চোখ ফুঁড়ে দেয়ার জন্য তাকে খুঁজেছিলেন। (বুখারী পর্ব ৭৯ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ৬২৪২; মুসলিম ৩৮/৯, হাঃ ২১৫৭) আবু হুরাইরাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কেউ তোমার ঘরে তোমার অনুমতি ব্যতিরেকে উঁকি মারে আর তুমি পাথর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু ফুটা করে দাও, তাতে তোমার কোন গুনাহ্ হবে না। (বুখারী পর্ব ৮৭ অধ্যায় ১৫ হাদীস নং ৬৮৮৮; মুসলিম ৩৮/৯, হাঃ ২১৫৮)